ইতালির রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য র্মযাদায় মহান বিজয় দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করা হয়েছে। ইতালিতে কভিড-১৯ মহামারীর সংকটময় পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে অনুষ্ঠানটি হাইব্রিডের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় বলে আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

ইতালি, সার্বিয়া ও মন্টেনিগ্রোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান বিজয় দিবসে সকাল সাড়ে ৯ টায় দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারির উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এর পর এক মিনিট নীরবতা পালন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

বিদেশি অতিথি, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে দূতাবাসের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পবের্র আয়োজন করা হয়। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কর্মসূচির মধ্যে ছিলো পবিত্র ধর্ম গ্রন্থসমূহ থেকে পাঠ, দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং ‘স্বাধীনতা শব্দটি কী করে আমাদের হলো’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা।

আলোচনা অংশে বাংলাদেশের দু’জন অনারারি কনসালসহ অন্যান্য বিদেশি অতিথিবৃন্দ বিজয় দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তীতে উষ্ণ অভিনন্দন জানান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন অভিযাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেন। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু এবং সকল শহিদের প্রতি তাদের গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বঙ্গবন্ধু ও শহিদদের লালিত স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার দৃঢ় প্রত্যয় পুর্নব্যক্ত করেন।

ঢাকাস্থ জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ভার্চুুয়ালি যোগদান করে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারি স্বতঃর্স্ফূতভাবে জাতীয় পতাকা মুষ্টিবদ্ধ হাতে শপথ গ্রহণ করেন।

সর্বকালের র্সবশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর সম্মোহনী নেতৃত্বই ছিলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের মূল চালিকা শক্তি। রাষ্ট্রদূত ২০২১ সালের বিশেষ তাৎপর্য তুলে ধরে উল্লেখ করেন, ইতিহাসের এই মাহেন্দ্রক্ষণে বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতর্বাষিকী, স্বাধীনতা ও মহান বিজয় দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করছে। একই সাথে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্যের জন্য বিশ্ব পরিমন্ডলে ‘রোল মডেল’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিজয়ের এই মাসে এবং মুজিববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এর প্রধান কার্যালয়ে শেখ মুজিব-বাংলাদেশ কক্ষ স্থাপনের বিষয়ে বাংলাদেশ এবং এফএও-এর মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের বিষয়ে বিশেষভাবে উল্লেখ করেন তিনি। মহান বিজয় দিবসের এই আনন্দঘন মুহূর্তে তিনি ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশীদের ঐক্যবদ্ধ সহাবস্থানের আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে, হাইব্রিড মাধ্যমে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ শিশু শিল্পীদের পরিবেশনায় দেশাত্মবোধক গান ও নাচের ধারণকৃত অংশ উপভোগ করেন। সুস্মিতা সুলতানার পরিচালনায় এবং স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সঞ্চারী সংগীতায়ন’ এর শিক্ষার্থী দীপা পোদ্দার, দিয়া পোদ্দার, স্বস্তিকা রুপন্তি বণিক, পুনম শীল, মিথিলা দাস মেঘা ও সানি বণিক এর নাচ ও গান পরিবেশনা দর্শকদের মুগ্ধ করে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের শহিদ সদস্যরা এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদের বিদেহী আত্মার প্রতি মাগফিরাত কামনা করে এবং দেশের উত্তরোত্তর উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।-বাসস

এখন সময়/শামুমো